শেরে-বাংলাকে নিয়ে কিছু কথা লিখেছেন: জনাব ফাইয়াজুল হক রাজু।
শেরে-বাংলার অসামান্য রাজনীতি : অন্ধকার সেই বৃটিশ-ভারতে প্রবল আর্থ- সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতার অভাবের মাঝে পিছিয়ে পরা বাঙালিদের জন্য নূন্যতম ডাল-ভাতের রাজনৈতিক কর্মসূচি ও কৃষকের সন্তানদের পাঠশালা মুখি করে তোলার যে মহা সংগ্রাম, সেই রাজনীতির পুরোধা নেতা শেরে-বাংলা। ভূমি সংস্কার, জমিদারদের উচ্ছেদ, ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন, সারা বাংলায় শিক্ষা বিস্তার ও অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ গঠনে তাঁর অবদান অসাধারণ। তিনি তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্বের আওতায় একটি বাঙালি নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই গড়ে উঠা বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিস্তার ও সেই চেতনার ছায়াতলে বিকাশমান সেই সময়ের নিম্ন মধ্যবিত্ত সমাজের থেকেই সভা-সমাবেশ, প্রতিবাদ ও স্বাধীকার আওয়াজের সুচনা। তিনি একই সাথে অখণ্ড বাংলার কথা বলেছিলেন ও ঐতিহাসিক লাহর প্রস্তাবের উত্থাপক। আবার একই সাথে ৪৭ পরবর্তী সময়ে,পাকিস্তানের রাজনীতি তে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন যার ফলে এদেশের মাটি হতে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক শক্তি মুসলিম লীগের চীর বিদায় রচিত হয় ও পুর্ব বাংলায় নৌকার জয়জয়কার হয়।